অপরিবর্তনীয় বন্ধুত্বের প্রশংসায় কিম
ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের উত্তর কোরিয়া সফরে বেইজিং-পিয়ংইয়ংয়ের ‘অজেয়, অপরিবর্তনীয়’ বন্ধুত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন কিম জং উন।
উত্তরের এ শীর্ষ নেতা বৃহস্পতিবার শি-র সঙ্গে বৈঠকের পর এ মন্তব্য করেন বলে কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির (কেসিএনএ) বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
দায়িত্ব নেওয়ার পর উত্তর কোরিয়ায় শি-র এটাই প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর। দুইদিনের এ সফর শুক্রবার শেষ হওয়ার কথা।
নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে বেইজিংয়ের পরিচিতি থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে তাতে খানিকটা ভাঁটা পড়েছে বলে পর্যবেক্ষকদের অনুমান।
উত্তরের পরমাণু কর্মসূচি ও পিয়ংইয়ংয়ের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞায় চীনের সমর্থন নিয়েই এ টানাপোড়েন বলেও ভাষ্য তাদের।
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগেই চীনের প্রেসিডেন্টের উত্তর কোরিয়া সফর নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও বেশ কৌতূহল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সপ্তাহখানেক পরে হতে যাওয়া ওই জি-২০ সম্মেলনে শি-র সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠক হওয়ার কথা।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীন ও উত্তর কোরিয়ার আলাদা আলাদা বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বও চলছে। বেইজিংয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটনের বিরোধ বাণিজ্য নিয়ে, পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে বিরোধ কোরীয় উপদ্বীপের নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে।
শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ’তে শি-র সফর ব্যাপক গুরুত্ব পায়।
“আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতির যে জটিল ও গুরুতর পরিবর্তন ঘটছে, তখন দুই নেতা কোরীয় উপদ্বীপসহ গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছেন,” বলেছে তারা।
কিম এ বৈঠককে দুই মিত্র দেশের ‘অজেয় ও অপরিবর্তনীয়’ বন্ধুত্ব প্রদর্শনের সুযোগ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন, বলেছে কেসিএনএ।
বৈঠকে শি কোরীয় উপদ্বীপের নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে উত্তর কোরিয়ার অবস্থানে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন এবং পিয়ংইয়ং ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনা অব্যাহতের ওপর জোর দিয়েছেন, জানিয়েছে চীনা গণমাধ্যম।
ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামে ট্রাম্প-কিম দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠকের পর এবারই প্রথম শি-কিম বৈঠকে মিলিত হলেন। হ্যানয়ের ওই বৈঠকটি কোনো চুক্তি ছাড়াই ভেস্তে গিয়েছিল।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতায় আসায় পর থেকে এ নিয়ে ৪ বার চীন সফর করেছেন কিম।
অন্যদিকে ২০০৫ সালে চীনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হু জিনতাওয়ের সফরকালে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতায় ছিলেন কিমের বাবা কিম জং ইল।
উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কার্যক্রমের কারণে দেশটির ওপর ধারাবাহিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতিসংঘ। বেইজিং এসব নিষেধাজ্ঞায় সমর্থন দিলেও শি-র এবারের সফর দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতিতে ভূমিকা রাখবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।